মোঃ আল-আমিন, ফরিদগঞ্জ:
১৯৯৬ সালে দেশরত্ন শেখ হাসিনা সর্বপ্রথম এদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে সাংবাদিক শফিকুর রহমানের উটতলি ব্রিজের স্বপ্ন দেখা শুরু।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিক শফিকুর রহমানকে যখন জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন আপাতত কাউকে কিছু না বলে এলাকায় এসে ঘুরতেন,মানুষের খোঁজ খবর নিতেন এবং কোথায় কোন কাজটা মানুষের প্রানের দাবি সেটা নোট নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
সেই প্রেক্ষাপটেই ১৯৯৯/২০০০ সালে সাংবাদিক শফিকুর রহমান উটতলি ব্রিজের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাংবাদিক শফিকুর রহমানের নির্বাচনি জনসভায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ফরিদগঞ্জ বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজ মাঠে ঘোষনা দিয়েছিলেন শফিক আমার বন্ধু তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার দায়িত্ব আপনাদের আর উন্নয়নের দায়িত্ব আমার।২০০১সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়ে গনসংযোগকালে শফিকুর রহমান উটতলি ব্রিজ করার ঘোষনা দেন।সেই ২০০১সালের ষড়যন্ত্রের নির্বাচনে দেশব্যপি পরাজয়ের অংশ হিসেবে ফরিদগঞ্জেও মুহম্মদ শফিকুর রহমান পরাজয় বরন করেন।সেই কালো অধ্যায়ে ব্রিজের বিষয়ে আর কোন অগ্রগতি হয়নি।
২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভিডিও কনফারেন্সের সময়ে মুহম্মদ শফিকুর রহমান উটতলি ব্রিজ নির্মানের জন্য এক নাম্বার দাবি জানান মাননীয় নেত্রী সেই সময়ে ব্রিজ করে দিবেন বলে আশ্বাসওল দেন।
তারপরে আবার ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শফিকুর রহমান বিএনপি জামাতকে পরাজিত করতে পারলেও দলের কিছু মোনাফেক বেঈমানকে পরাজিত করতে পারেন নাই।উনাকে নির্বাচনে পরাজিত করে থামিয়ে দিতে চাইলেও যেহেতু উনার নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাই উনাকে চুড়ান্তভাবে থামানো যায় নি।উনি উটতলি ব্রিজের জন্য তৎকালীন স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকের কাছে আবেদন নিয়ে যান। জনশ্রুতি আছে সেই সময়ে ৮০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল উটতলি ব্রিজের জন্য। যে কোন কারনেই হোক সেই প্রকল্প আর আলোর মুখ দেখে নাই।
২০১৪ সালে এমপি সামছল হক উটতলি ব্রীজের ব্যাপারে কোন ডিও লেটার দেননি। আর যদিও ডিও দিয়ে থাকেন সফল হতে পারেননি । পর্যায়ক্রমে ২০১৮ সালে সাংবাদিক মুহম্মদ শফিকুর রহমান এমপি হওয়ার সর্বপ্রথম উটতলি ব্রিজের জন্য ডিও লেটার দেন।
তারই ধারাবাহিকতায় ৪ঠা জুলাউ উক্ত প্রকল্পটির ভিত্তি প্রস্থর উদ্ভোদন করেন এবং উটতলি ব্রিজের প্রকল্পটি একনেকে ১০৭ কোটি টাকা চুড়ান্ত অনুমোদন হয়।ধন্যবাদ ধরিত্রীর আদরের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা।
You must be logged in to post a comment.