লুৎফর রহমান, লালমনিরহাটঃ
মঙ্গলবার ভোর রাতে লালমনিরহাটের সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের চর গোকুন্ডা গ্রামে তিস্তার ডান তীরের একটি বাধ ভেঙ্গে দুটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
এসময় বাধে বসবাসকারী ১১ টি বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে বলে জানিয়েছেন গোকুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তাফা স্বপন। নিজের বসতবাড়ি রক্ষা করতে গিয়ে ওই এলাকার দুলু মিয়ার ছেলে আবু সাইদ (২২) বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে মারা গেছে।
চেয়ারম্যান জানান,বাধের পাশেই অপরিকল্পিত ভাবে বালু উত্তোলন করায় আর তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চর গোকুন্ডার ডান তীর বাধটি মঙ্গলবার সকালে ধসে গিয়ে দুটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
এসময় প্রবল পানির চাপে ১১টি বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মহিবুল হক নদী ভাঙ্গনের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,ভাঙ্গনরোধে ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে,জিও ব্যাগ ফেলানোর কাজ চলছে। পাউবোর এই কর্মকর্তা আরো জানান, বাধের পাশেই ভুমিদস্যুর বালু উত্তোলন করায় বন্যার আগেই বাধটি ধসে গিয়েছে, বালু উত্তোলনের বিষয়টি প্রশাসনকে জানানোর পরও কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহফুজ আলম জানান, গোকুন্ডায় নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে নিজের বাড়ি রক্ষা করতে গিয়ে আবু সাঈদ নামের এক যুবক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে। তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর নদী ভাঙ্গনের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
You must be logged in to post a comment.