রকিবুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টারঃ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বর্ণি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুল ইসলাম (বাদশা)র চেষ্টায় মা বাবার কবরের পাশে শায়িত হলো অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক সায়ের আলি বিশ্বাস।গত শনিবার (৪ জুলাই) সকাল ৮ টায় উপজেলার বর্ণি মধ্যপাড়া ঈদগাহ ময়দানে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় জানাজা শেষে তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী মা-বাবার কবরের পাশেই তাকে দাফন করা হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত শুক্রবার ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বর্নি গ্রামের সায়ের আলী বিশ্বাস। মৃত্যু কালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি প্লাস্টিক অ্যানিমিয়া রোগে দীর্ঘদিন যাবৎ ঢাকা সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলো।
মৃত সায়ের বিশ্বাসের ছেলে লুৎফর বিশ্বাস জানান, তার বাবা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলো। পরে ডাক্তার ঐ হাসপাতালের হেমাটলোজি ওয়ার্ডে ভর্তি করায় তাকে। কিছুদিন পরে হেমাটলোজি ওয়ার্ডের একজনের করোনা পজেটিভ হয়। তখন হেমাটলোজি ওয়ার্ডের সকলকে কোভিট-১৯ এর টেস্ট করায় ও ১৪ জুন আমার বাবার রিপোর্ট পজেটিভ আসে। এরপর গত ৩ জুলাই সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন।
তিনি আরো জানান, তার বাবা মৃত ছায়ের বিশ্বাসের শেষ ইচ্ছা ছিল গ্রামের বাড়িতে তার বাবা-মার পাশে যেন তার লাশ দাফন করা হয়। পরে মর্চিয়রি থেকে জানানো হয় গ্রামের বাড়িতে লাশ নেয়া যাবেনা। তখন অনেক আকুতি মিনতি করার পর কতৃপক্ষ জানায় গ্রামে লাশ নিতে হলে স্থানীয় প্রশাসন/ চেয়ারম্যানের সুপারিশ লাগবে। পরে আমি বর্নি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুল ইসলাম বাদশাকে জানাই। তখন তার হস্তক্ষেপে আমার বাবার লাশ আমাদের গ্রামে আনতে সক্ষম হই। পরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রশিক্ষিত দলের মাধ্যমে জানাজা সম্পন্ন করি। আমার বাবার শেষ ইচ্ছা পূরণ করার জন্য চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বাদশাকে অনেক ধন্যবাদ জানাই।
এ বিষয়ে বর্ণি ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বাদশা বলেন, গত ৩ জুন রাতে সায়ের আলি বিশ্বাসের ছেলে লুৎফর বিশ্বাস মুঠোফোনে জানায় ঢাকা সামরিক হাসপাতাল কতৃপক্ষ কোন ক্রমেই মৃত করোনা আক্রান্ত রোগীকে গ্রামে দাফন করার সুযোগ দিবেনা। পরে আমি টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা নাকিব হাসান তরফদার, থানার ওসি এএফএম নাসিম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ জসিম উদ্দিনের অনুমতি নিয়ে হাসপাতাল কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে মৃত সায়ের বিশ্বাসের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী গ্রামের বাড়িতে বাবা-মা’র কবরের পাশে লাশ দাফন করতে দেয়ার জন্য তাদের অনুরোধ করি। তখন (সিএমএইচ) কতৃপক্ষ গ্রামের বাড়িতে লাশ দাফন করার অনুমতি দেয়।
You must be logged in to post a comment.