রবিউল ইসলাম, নালিতাবাড়ী প্রতিনিধিঃ
শেরপুর জেলার, নালিতাবাড়ীর থানার নিচপাড়া গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন তৎকালীন সময় সরকারের এম,এল, এ পুত্র সরকার গোলাম ফারুক যার বর্তমান বয়স (৫৬) বছর,তার পিতা ছিলেন তৎকালীন সময়, সরকারের, শেরপুরের এম ,এল ,এ, এবং নকলা নালিতাবাড়ীর মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠন ও নকলা নালিতাবাড়ীর আওমীলীগের প্রতিসঠাতা মুরহুম জনাব আব্দুল হাকিম সাহেব এবং বর্ননাকারী সরকার গোলাম ফারুকের পিতা,
১৯৭১ সালে, ৭ই মার্চ তার বয়স ছিল ৭ বছর। তার বাবা ছিলেন একজন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠন, সরকার গোলাম ফারুক ৭ বছর বয়সে তেমন কিছু না বুঝলেও এমন কিছু আন্দাজ করতে পারেন যে, পশ্চিম পাকিস্থানীরা পুর্ব বাংলার উপর যে অন্যায়, অত্যাচার,যুলুম নির্যাতন করে তার বিপক্ষে সোচ্চার হয়েছেন এবং প্রতিবাদ করার এক মুহুর্ত তৈরি করেছেন পর্ব বাংলার মানুষেরা এবং মুক্তিযুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করার সকল প্রস্তুতি চলছে তার অনুমান, সে সময়কার তাই বাংলার সকল মানুষ অপেক্ষা করছিল, বাংগালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান কখন ভাষণ দিবেন রেডিও টেলিভিশনে, সাধারণ মানুষের ন্যায় তিনিও গভীর আগ্রহ নিয়ে বসে ছিলেন তাদের সাথে ভাষণ শুনার জন্য, রেডিও এর সামনে___
হুবুহুবু তুলে ধরা হল তার বর্ননার কথা গুলো____________
৭ ই মার্চ/১৯৭১ এর দিনে
——————-———
১৯৭১ সালে আমার বয়স মাত্র ৭ বছর।আমার দুই চাচা মরহুম আ: হালিম সরকার ও মরহুম নূর হোসেন সরকার ৭ ই মার্চের ভাষণ শুনার জন্য পুরানো একটা রেডিওতে সেন্টার ধরে বসে আছেন।গ্রামের অসংখ্য মানুষ রেডিও মাঝ খানে রেখে গোল করে বসা।আমিও সেদিন দুই কাকুর সাথে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনার জন্য অপেক্ষা করেছি।
ঠিক ২.৪৫ মিনিটে যখন রেডিওতে বঙ্গবন্ধুর বজ্রকন্ঠে ভেসে এলো “ভায়েরা আমার” তখন সবাই একসাথে চিৎকার দিয়ে উঠলো এবং জয়বাংলা স্লোগানে মুখরিত হলো। হালিম কাকু সবাইকে থামালেন এবং বক্তৃতা শুনার জন্য বললেন।আমরা সবাই নিরব হলাম।বঙ্গবন্ধুর ভাষণ চলছে, সবাই মনোযোগ দিয়ে শুনছি কোথাও পিনপতনের শব্দ নেই কিন্তু কেমন যেন একটি গোমট পরিবেশ সেদিন তৈরী হয়েছিল।
৩.০৩ মিনিটে বঙ্গবন্ধুর ১৯ মিনিটের ভাষণ শেষ হলো।
চেয়ারম্যান কাকু সবাইকে প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে বললেন কারণ যে কোন সময় যুদ্ধে যাওয়া লাগতে পারে।তখন বাবা (মরহুম আ: হাকিম সরকার প্রা:এম.এল.এ)ঢাকায় না বাড়ীতে আমার মনে নেই।শুধু এইটুকু মনে আছে সবাই বলছে এম.এল.এ সাহেব কি বলেন, উনাকে সর্তক থাকতে হবে।সবার মনের ভিতরে একটা যুদ্ধাংদেহী মনোভাব তৈরী হলো আবার কেউ কেউ ভয়ে অস্থিরতায় ভূগছিলেন।
আমার মা সেদিন বলেছিলেন যুদ্ধ বোধহয় শুরু হয়ে গেল।তারপর দিনকে দিন পরিস্তিতি খারাপ হতে থাকলো এবং এক সময় যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ ও অনেক ত্যাগ তিতীক্ষার পর স্বাধীনতা অর্জিত হলো। আমরা পরাধীনতার হাত থেকে মুক্তিলাভ করে মুক্ত বিহঙ্গের মত ঘুরে বেড়ানোর স্বাদ পেলাম।
You must be logged in to post a comment.