নিজস্ব প্রতিবেদক :
স্বরূপকাঠী উপজেলায় সারেংকাঠী ইউনিয়নের মোটরসাইকেল নিয়ে বিপাকে পড়তে হয় বাইকারদের। সারেংকাঠী সাইক্লোন সেল্টারের সামনে গতকাল রাতে রাস্তার পার্শে মোটরসাইকেল রেখে নদীর পাড়ে হাটতে গিয়ে এমন এক তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে উক্ত ইউনিয়নের এক বাইক চালকের। তিনি জানান, আমি সাইক্লোণ সেল্টারের সামনে বাইক রেখে নদিরপাড়ে হাটতে যাই আনুমানিক ২০ মিনিট পর এসে দেখি মোটরসাইকেলটি উক্ত স্থানে নেই। চারিদিকে খোঁজাখুঁজি করার একপর্যায়ে উক্ত স্থান থেকে প্রায় আধাকিলোমিটার দুরে একটি বাড়ীর সামনে দেখামেলে মোটরসাইকেলের।
এসময় উক্ত বাড়ীর পরিবারের সদস্যদের কাছে জানতে চেয়েছি কে রেখেছে এখানে বাইকটি? এবিষয়ে তারা কিছুই বলতে পারল না। এসময় ১০ নং সারেংকাঠী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার গবিন্দকে মোটরসাইকেলের একটু দূরত্তে দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। সে গবিন্দর কাছে জানতে চাইলে, বলে রাতের বেলায় খোলা জায়গায় গাড়িটি রাখা ছিল সে জন্য আমি এটি ঠেলে নিয়ে একটু হলকে নিয়ে আসি পাহারা দেওয়ার জন্য।
বাইকের মালিক তাকে বলে আমার অনুমতি ছাড়া এখানে এটি কেন নিয়ে আসলেন? মেম্বার বলে আমি নিজেই প্রশাসন সে জন্য এনেছি। এখান থেকে অনেক গাড়ি চুরি হইছে, এইসব যায়গা দিয়েই গাড়ি পাচার করে।
এমন ঘটনাটি শুনে এলাকাবাসী বিস্ময় প্রকাশ করে জানান, আর ১৫ মিনিট পড়ে আসলেই কাম সারছেলে যে রাস্তায় গাড়িটি ঢুকিয়ে ছিল আর একটু সামনে নিতে পারলেই নৌ পথে চলে যাওয়ার সম্ভবনা ছিল।
এবিষয়ে বাইকের মালিক অভিযোগ করেন, এত অল্পসময়ের ভিতরে মেম্বার সাহেব আমার সখের গাড়িটি আমার অনুমতী বিহীন স্থানান্তর করাটা তার ঠিক হয়নি। আমার গাড়ি তার যদি পাহারা দেওয়ার ইচ্ছা থাকত তাহলে স্থানান্তর করার দরকার কি ছিল? ওখানে বসেই পাহারা দিতে পারত। সেটা করলে তাকে আমি সাধুবাদ জানাতাম। অন্যের বাইক নিজের মনেকরে নিয়ে যাওয়া বেঠিক সে যেই হোক। ওখানে সময় মত উপস্থিত না হলে বাইকটি আর পেতাম না। এটা যদি মাঠে হাল চাষ করা কোন লোক করত তাহলে মেনে নিতাম যে সে না বুঝে গাড়ী অপসারণ করেছে।
এসব ব্যাপারে ওই মেম্বার গবিন্দের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, ওই সময় আপনি নাকি নিজেকে প্রশাসন পরিচয় দিয়েছিলেন, আপনি কোথার প্রশাসন? সে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। বলেন, ও গাড়িরেখে রাত ১১টা ত্রিশ মিনিটের সময় নদীর পাড়ে হাটতে বের হয়। এসময় আসে পাসে কোন লোক না দেখতে পেয়ে আমি গাড়িটি নিয়ে আসি। পরে ওরা গাড়িটি খুঁজে পেলে আমি দিয়ে দেই। আমি একাছিলাম না সাইদও ছিল খোজ নিয়ে জানা যায় সাইদ সারেংকাঠী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি।
গবিন্দ বলে, এলাকার মোটরসাইকেল চুরি করে এখানের খেয়া পার করে তাই আমি গাড়িটি পাহারা দিয়েছি। কিন্তু বাইকটি দূরত্বে সরিয়ে নেয়ার কোন যুক্তিযুক্ত উক্তর দিতে পারেন নি এই মেম্বার গবিন্দ। জানা যায়, স্বরূপকাঠীর সন্ধ্যা নদীর পশ্চিমপাড়ের মোটরবাইক চুরির একটি রুট এটি। এখানকার নৌপথ ও সড়ক পথ ব্যাবহার করেই বাইক চুরি সন্দেহ এলাকাবাসির।
You must be logged in to post a comment.