শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
শিরোনাম ::
জাপান সাগরে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল উত্তর কোরিয়া গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে ছারছীনা দরবার শরিফের ইছালে মহফিল সম্পন্ন দিল্লির বিমানবন্দরে বোমার গুজব ছড়ানোর অভিযোগে বাংলাদেশি নাগরিক গ্রেপ্তার নীলফামারীতে তিন রাউন্ড গুলিসহ একটি রিভলবার উদ্ধার করেছে পুলিশ আইজিপি ব্যাজ পেলেন ৪৮৮ পুলিশ সদস্য ক্বারী নূর মোহাম্মদ ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে ২য় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ফিলিস্তিনের বিপক্ষে অপতথ্য ছড়ানো প্রতিরোধে ডিজিটাল প্ল্যাটফমের্র প্রস্তাব, তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পঞ্চগড়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ রাখার দায়ে এক ফার্মেসী ও তিন হোটেলকে ১১ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা শরণখোলায় পাঁচ হরিণ শিকারী আটক করেছে বন বিভাগ
নোটিশ ::
Wellcome to our website...

বিজয় দিবসের ভাবনা আসন্ন নির্বাচনের প্রেক্ষিতে

Reporter Name / ৮৮ Time View
Update : শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩২ পূর্বাহ্ন

অনলাইন ডেস্ক:
আজ দেশে-বিদেশে বাংলাদেশের বিজয় দিবস পালিত হচ্ছে। এবারের বিজয় দিবসের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, আর দু’সপ্তাহ পরেই একটি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে নির্ধারিত হবে বহু শহিদের আত্মদানের ফলে পাওয়া বিজয় দিবসের অর্জনগুলো রক্ষা পাবে কিনা, নাকি ১৯৭৫ সালের মতো তার ঘাতকদের দ্বারা অপহূত হবে? দেশপ্রেমিক মানুষ মাত্রেরই ধারণা, অতীতের ভুলের পুনরাবৃত্তি হবে না।

১৬ ডিসেম্বরের অনুপ্রেরণা থেকেই ত্রিশে ডিসেম্বরের নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ নৌকায় ভোট দেবে। ত্রিশে ডিসেম্বরের পর আমরা আরেকটি বিজয় দিবস পালন করতে পারব।এই বিশ্বাস আমারও আছে।

তথাপি অনেকের—এমনকি দেশপ্রেমিক একশ্রেণির বুদ্ধিজীবীর মধ্যেও একটা বিভ্রান্তি আছে। তারা বলেন, আওয়ামী মহাজোটকে ভোট দিয়ে লাভ কী? তাদের মধ্যেও তো বিএনপি জোটের মতো দুর্নীতিবাজ অত্যাচারী নেতা, উপনেতা, মন্ত্রী আছে। বিএনপি জামায়াতের বন্ধু হলে আওয়ামী লীগতো হেফাজতের বন্ধু।

তাহলে দুই জোটের মধ্যে পার্থক্যটা কোথায়?আমাদের দেশেরই একদল বুদ্ধিভ্রষ্ট ও বুদ্ধি বিক্রয়কারী বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক ও কলামিস্ট আছেন যারা সুশীল সমাজ নাম ধারণ করেছেন। তারা এই বিভ্রান্তিটা বেশি ছড়াচ্ছেন।

তাদের এই বিভ্রান্তি সৃষ্টিতে প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীদেরও কেউ কেউ প্রভাবিত হয়েছেন দেখা যাচ্ছে। সম্প্রতি ঢাকায় এক দৈনিকে আমার এক শ্রদ্ধাভাজন বুদ্ধিজীবী বন্ধুর একটা লেখা চোখে পড়লো।

তাতে তিনিও প্রশ্নটা তুলেছেন, হেফাজতিদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করা গেলে জামায়াতদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করায় আপত্তিটা কী?এই প্রশ্নটা নির্বাচনের আগে খুব জোরালোভাবে নির্বাচকমণ্ডলীর সামনে তুলে ধরা হচ্ছে এবং তাতে নির্বাচকমণ্ডলীর একটা অংশের মধ্যে যে বিভ্রান্তি দেখা দিচ্ছে, তা অস্বীকার করা যাবে না। অন্যদিকে ড. কামাল হোসেনতো বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ব্যাপারটাকে হালাল করে দিয়েছেন। তার চোখ থেকে লজ্জা

এতটাই বিদায় নিয়েছে যে, যিনি জীবনে একবারও স্বাভাবিক নির্বাচনে জয়ী হননি, তিনি এবার আওয়ামী লীগকে টিটকারি দিয়ে বলেছেন, “আপনারাতো এবার হেরে যাচ্ছেন, তাই না?” এই টিটকারিটা তিনি করতে পেরেছেন এজন্যেই যে, তিনি এখন বেগম খালেদা জিয়ার বুলি ধার করে কথা বলতে চাইছেন। তিনি জানেন তার ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনে জয়ের সম্ভাবনা কম।

তাতে কী? নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর খালেদা জিয়ার ভাষায় বলবেন, “আওয়ামী লীগ আমাদের জয় ছিনতাই করেছে”।আওয়ামী লীগের উচিত, তারা তাদের জয় সম্পর্কে যতই নিশ্চিত থাকুন প্রতিপক্ষের প্রচারণাকে উপেক্ষা না করা। কেবল উন্নয়নের দামামা বেশি না বাজিয়ে ঐক্যফ্রন্টের প্রতিটি প্রচারণার জবাব দেওয়া।

তাদের অসত্য ও বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী প্রচারণার মুখোশ ভোটদাতাদের সামনে তুলে ধরা।দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের কথা যদি ধরা যায়, বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও অবাধ লুটপাটের যে রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল, তার তুলনায় আওয়ামী লীগ আমলের দুর্নীতি নস্যি। বিএনপি আমলের লুটপাটের পরিমাণ যে কতটা ছিল, তা বোঝা যায় দেশত্যাগের পর তারেক রহমানের বিদেশে ১০ বছর যাবত্ বিলাসবহুল জীবন-যাপন দেখে।

দেশ ছেড়ে যাওয়ার পর এতটা বিলাসবহুল জীবন মিসরের রাজা ফারুক বা ইরানের শাহও যাপন করতে পারেননি।আর সন্ত্রাস? একটি পশ্চিমা দেশতো প্রকাশ্যেই বিএনপিকে একটি সন্ত্রাসী দল হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ও পরে নির্বাচন বানচালের জন্য বিএনপি দেশময় পেট্রোল বোমাবাজি দ্বারা যে অসংখ্য নিরীহ মানুষ হত্যা করেছে তার কোনো তুলনা নেই।

অন্য কোনো দেশ হলে বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করা হতো। স্বাধীনতার পরও ভারতে অবিভক্ত কম্যুনিস্ট পার্টিকে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য এক সময় নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে সে গণআন্দোলনের দল। সন্ত্রাসী দল নয়।

তার ইতিহাস হানাদারদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করার ইতিহাস। ছুরি মেরে বা পেট্রোল বোমাবাজিতে নিজের দেশের নিরীহ মানুষ হত্যায় নয়। ভাগ্যের কী পরিহাস, “মহাত্মা” ড. কামাল হোসেন এখন সন্ত্রাসী দলের জোটের নায়ক।

আওয়ামী লীগের ভেতরে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার সম্পর্কে আমি এপোলজিস্ট নই। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু নিজে সক্ষোভে বলেছিলেন, “আমার চারদিকে চাটার দল জুটে গেছে।” এই চাটার দলকে দমনের জন্য তিনি তার নিজের দলের বেশ কয়েকজন এমপিকে পর্যন্ত শুধু সংসদ নয়, দল থেকেও বহিষ্কার করেছিলেন।

বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করে অবাধ লুটপাটের দরোজা খুলে দেন। ঘোষণা করেন, ‘মানি ইজ নো প্রবলেম’। ব্যাংকের কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়ে তা শোধ না করে রাতারাতি ধনী হওয়ার ব্যবস্থা করে দেশে এক চরিত্রহীন, দেশপ্রেমবর্জিত নব্য ধনী শ্রেণি তৈরি করেন।

এরা এখন দেশের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার সর্বস্তরে আধিপত্য বিস্তার করেছে। এই আধিপত্য থেকে দেশের রাজনীতি, এমনকি আওয়ামী লীগের রাজনীতিও মুক্ত থাকতে পারেনি।

দীর্ঘ একুশ বছর পর দীর্ঘ সংগ্রাম শেষে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে বটে, কিন্তু সামরিক ও স্বৈরাচারী আমলে সৃষ্ট সামাজিক অবক্ষয়ের কবল থেকে মুক্ত থাকতে পারেনি।

শেখ হাসিনা শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পথে তার দল ও দেশকে এই অবস্থা থেকে মুক্ত করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু রাতারাতি এ পরিবর্তন সম্ভব নয়। রাতারাতি পরিবর্তন চাইলে বিপ্লব প্রয়োজন। কিন্তু আওয়ামী লীগ কেন, দেশে এখন বামপন্থিরাও বিপ্লবী নয়। সকলেই এখন সংসদীয় গণতন্ত্রের মাধ্যমেই সমাজ পরিবর্তন চাইছেন।

শেখ হাসিনা সেই চেষ্টাই করছেন। তিনি দেশকে অনেকটাই সন্ত্রাস মুক্ত করেছেন। আরও এক দফা দেশ শাসনের সুযোগ পেলে দুর্নীতিকেও তিনি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নিয়ে আসতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।

বিএনপি সন্ত্রাস দমন করেনি। ক্ষমতায় গিয়ে সন্ত্রাসের জন্ম দিয়েছে। দুর্নীতিতে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। তাদের শাসনামলে দেশের কোনো সেক্টরেই কোনো প্রকার উন্নয়ন হয়নি। আওয়ামী লীগের আমলে দেশের অর্থনীতির শুধু অবিশ্বাস্য উন্নতি হয়নি। দেশটি মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে চলেছে।

বিদেশের এক অর্থনীতিবিদ বলেছেন, “শেখ হাসিনার হাতে যেন আলাদীনের চেরাগ আছে। দু’দিন আগেও যে দেশটি ছিল তলাবিহীন ঝুড়ি, মঙ্গা দুর্ভিক্ষের দেশ, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিতে ভর্তি দেশ, সে দেশটি কার জাদুস্পর্শে যেন সন্ত্রাস ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশে রূপান্তরিত হয়েছে।

খাদ্যাভাবের দেশ থেকে খাদ্যে উদ্বৃত্ত দেশে পরিণত হয়েছে, মানুষ অভাবমুক্ত হয়েছে।’আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী মহাজোটকে ভোট দিয়ে দেশের সচেতন মানুষের উচিত এই উন্নয়নের ধারাকেই অব্যাহত রাখার ব্যবস্থা করা।

যে দুর্নীতি কম্যুনিস্ট দেশগুলোতে, এমনকি চীনে পর্যন্ত উচ্ছেদ করা এখনো সম্ভব হয়নি, বাংলাদেশে তা ক্রমপর্যায়ে উচ্ছেদের জন্য আওয়ামী লীগকে সুযোগ দেওয়া। সন্ত্রাসের মতো দুর্নীতিও দমন করতে হলে তা হাসিনা সরকারের পক্ষেই সম্ভব হবে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে দুর্নীতি বাড়বে বই কমবে না। সেই সঙ্গে আবার সন্ত্রাস যুক্ত হবে।

সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী অপশক্তি আবার ক্ষমতার শরিক হবে। শুরু হবে উন্নয়নের অগ্রসর ধারাকে আবার মধ্যযুগীয় অন্ধকারের ধারায় পিছিয়ে নেওয়া।বিএনপি’র জামায়াতের কাছে আত্মসমর্পণ আর আওয়ামী লীগের হেফাজতের সঙ্গে সাময়িক আপসকে যারা একই কাজ মনে করেন, তারা বড় ধরনের ভুল করছেন। জামায়াত ’৭১-এর স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতকের দল। স্বাধীনতার পরও সন্ত্রাসী দল।

এদেশের অসংখ্য বুদ্ধিজীবী, মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষের রক্ত তাদের হাতে। হেফাজত মৌলবাদী দল। কিন্তু একাত্তরের ঘাতক ও কোলাবরেটর দল নয়। বিএনপি নির্বাচনে জয়ী হলে জামায়াত ক্ষমতায় যাবে, মন্ত্রী-এমপি হবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে হেফাজত ক্ষমতায় যাবে না, মন্ত্রী-এমপিও হবে না। আওয়ামী লীগ সরকারের কাছ থেকে কিছু দাবি-দাওয়া আদায় করতে পারে।সেক্যুলার রাজনীতি অনুসরণের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগকে যে একপা পিছাতে হচ্ছে একথা সত্য। এক্ষেত্রে দু’পা এগুবার জন্য যে কৌশল হিসেবে একপা পিছাতে হয়, বর্তমান বিশ্বে তার নজির কি কম? কিউবায় ফিডেল ক্যাস্ট্রোর সরকারকে উত্খাতের জন্য যখন ক্যাথলিক চার্চ ও মার্কিন সিআইএ ষড়যন্ত্র করেছিল, তখন ফিডেল ক্যাস্ট্রো ভ্যাটিকানের পোপকে সংবর্ধনা জানানোর জন্য নিজে হাভানায় এয়ারপোর্টে হাজির হয়েছিলেন এবং ক্রিসমাসকে পিপলস ক্রিসমাস নাম দিয়ে কিউবায় পুনঃপ্রবর্তন করে জঙ্গি ক্রিশ্চান আন্দোলন শান্ত করেছিলেন।

ভারতের কেরালায় কম্যুনিস্ট শাসনে বাধা দেওয়ার জন্য কংগ্রেস তার চির বৈরী মুসলিম লীগের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কোয়ালিশন সরকার গঠন করেছিল।
ব্রিটিশ ভারতে গান্ধীজি ব্রিটিশ শাসন উত্খাতের জন্য মুসলমানদের দলে ভেড়াবার উদ্দেশ্যে শুধু সামন্তবাদী খেলাফত আন্দোলন করেননি, দেওবন্দের আলেমদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন। ভারতের জমিয়তে ওলামায়ে হিন্দ মওলানা হোসেন আহমদ মাদানী, মওলানা হিফজুর রহমানের নেতৃত্বে কখনো পাকিস্তান দাবি সমর্থন করেননি।বাংলাদেশেও গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষা এবং স্বাধীনতা বিরোধীদের চক্রান্ত ব্যর্থ করার জন্যই আওয়ামী লীগকে মৌলবাদীদের সঙ্গে কিছুটা আপস করতে হয়েছে। এই আপসকে বড় গলায় নিন্দা করছেন তারাই, যারা উগ্র ধর্মীয় মৌলবাদী, তালেবান শাসনের সমর্থক এবং ’৭১-এর ঘাতক ও দালালদের মোর্চার কাছে আত্মসমর্পণ করে বসে আছেন।

বাংলাদেশের যেসব অতি বামপন্থি বুদ্ধিজীবী আওয়ামী লীগের হেফাজত-নীতির নিন্দা করছেন, তারা ১৯৫৪ সালের একটি ঘটনার কথা হয়ত ভুলে গেছেন।তখন মুসলিম লীগের স্বৈরাচারী শাসন পূর্ব পাকিস্তানের (বাংলাদেশ) বুকে জগদ্দল পাথরের মতো গেড়ে বসেছে।

এই শাসন উত্খাতের জন্য হক-ভাসানী-সোহরাওয়ার্দী এক হয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠন করেছেন। প্রশ্ন উঠল, এই যুক্তফ্রন্টে কম্যুনিস্ট পার্টিকে গ্রহণ করা হবে, না সাম্প্রদায়িক নেজামে ইসলামকে নেওয়া হবে? মওলানা ভাসানী নেজামে ইসলামকে নেওয়ার পক্ষে মত দিলেন। বললেন, আমি কম্যুনিস্ট পার্টিকে নেওয়ার পক্ষপাতী।

কিন্তু মুসলিম লীগ প্রচার চালাবে আমরা ধর্মের শত্রু নাস্তিকদের দলে নিয়েছি। বরং নেজামে ইসলামকে নিলে যুক্তফ্রন্টকে ধর্মবিরোধীও বলতে পারবে না।

মওলানা সাহেবের অভিমত তখনকার কমুনিস্ট নেতারা মেনে নিয়ে পেছনে থেকে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন জয়ে বিরাট ভূমিকা রেখেছেন। বর্তমানের একশ্রেণির বামপন্থি সে ইতিহাস বিস্মৃত হয়েছেন।শেখ হাসিনা স্বাধীনতার শত্রু, ’৭১ এর ঘাতক ও দালাল চক্রের ঐক্যফ্রন্টের ক্ষমতা দখলের চেষ্টা ব্যর্থ করার জন্য হেফাজতকে কিছু কনসেশন দিয়ে খুব একটা ভুল করেছেন বলে মনে হয় কি?এবারের নির্বাচনকে আমি ১৯৭০ সালের নির্বাচনের মতো জাতির ভাগ্য নির্ধারণকারী নির্বাচন মনে করি।

এই নির্বাচনে আওয়ামী মহাজোট জয়ী হলে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে জয়লাভের সকল চেতনা ও মূল্যবোধ রক্ষা পাবে। নইলে আবার তার উপর চরম আঘাত আসবে। তাই আজ ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় দিবসে দেশপ্রেমিক মানুষের সাথে আমারও একান্ত প্রার্থনা, আগামী ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী মহাজোট যেন জয়ী হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর