লুৎফর রহমান,লালমনিরহাটঃ
লালমনিরহাটের বুড়িমারীতে নিহত শহীদুন্নবী জুয়েল কোরআন অবমাননা করেননি। তাকে গুজব ছড়িয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের (ডিসি) গঠিত তদন্ত কমিটি।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) সকাল ১০টায় লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফরের হাতে এ সংক্রান্ত একটি তদন্ত প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান লালমনিরহাটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট টি.এম.এ মমিন, লালমনিরহাট ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক সাইদুল ইসলাম ও লালমনিরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম।
এর আগে শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) লালমনিরহাটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট টিএমএ মমিনকে প্রধান করে তিন কার্যদিবস সময় দিয়ে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
মোট ৫০ জনের লিখিত ও মৌখিক বক্তব্য নিয়ে তদন্ত কমিটির সাতটি সভা করে প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করা হয়েছে। ছয়টি অধ্যায়ে ৪২টি অনুচ্ছেদে ৭৩ পাতা সংযুক্তিতে মোট ৬ পাতার তদন্ত প্রতিবেদনটি প্রস্তুত। ঘটনার ভূমিকা, বিবরণ, অধিক তথ্যানুসন্ধান, গভীর পর্যবেক্ষণ, সুপারিশমালা ও মন্তব্য করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এতে চারটি সুপারিশ স্থান পেয়েছে বলে জানান তদন্ত কমিটির প্রধান।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের ভেতরে আবু ইউনুস মো. শহিদুন্নবী জুয়েলকে হত্যার পরে লাশ টেনে নিয়ে লালমনিরহাট-বুড়িমারী জাতীয় মহাসড়কে পেট্রোল ও কাঠখড়ি দিয়ে পোড়ানো হয়। এ ঘটনায় তিনটি মামলায় এজহার নামীয় ১১৪ জন আসামি ও অজ্ঞাত শত শত আসামি করা হয়।
নিহত যুবক শহিদুন্নবী জুয়েল রংপুর শহরের শালবন মিস্ত্রীপাড়া এলাকার আব্দুল ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে।
You must be logged in to post a comment.