স্মরণকালের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ষোড়শ বার্ষিকী আজ। ২০০৪ সালের এই দিনে রাজধানীর ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী শান্তি সমাবেশে এই নৃশংস হামলার ঘটনাটি ঘটে। আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন এতে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আহত হন প্রায় তিনশ’।
সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বোমা হামলার প্রতিবাদে আওয়ামী লীগের ডাকে সেদিন ওই শান্তি সমাবেশ শেষে শান্তি মিছিল হওয়ার কথা ছিল। তবে বিকাল ৫টা ২২ মিনিটে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার বক্তব্য শেষ হওয়ামাত্রই শুরু হয় মুহুর্মুহু গ্রেনেড হামলা। ট্রাকমঞ্চে শেখ হাসিনার সঙ্গে উপস্থিত নেতারা মানববর্ম রচনা করে তার জীবন রক্ষা করলেও ২২ নেতাকর্মী এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও দুই ব্যক্তি নিহত হন। ওই ঘটনায় গ্রেনেডের স্পিল্গন্টারের আঘাতে আহত শত শত মানুষের বেশিরভাগই দুঃসহ যন্ত্রণাময় জীবনযাপন করছেন এখনও। ইতিহাসের নৃশংসতম এই গ্রেনেড হামলা মামলার বিচারকার্য এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। এসব বাণীতে ২১ আগস্টের শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও আহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন তারা।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারে বন্দি অবস্থায় হত্যা করা হয় জাতীয় চার নেতাকে। এরপরও ঘাতকচক্র থেমে থাকেনি। তারা বঙ্গবন্ধু তনয়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট পরিকল্পিতভাবে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জনসভা চলাকালীন ইতিহাসের বর্বরতম গ্রেনেড হামলা চালায়।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আল্লাহর অশেষ রহমতে সেদিন জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও প্রাণ হারান দলের ২৪ জন নেতাকর্মী। আহত হন অনেকে। এ হামলায় বেঁচে থাকা অনেকে আজও পঙ্গুত্ববরণ করে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। ঘাতকচক্রের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বহীন করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে রুখে দেয়া এবং দেশে স্বৈরশাসন ও জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠা করা।
You must be logged in to post a comment.